বৃহস্পতিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১২

জোছনা


নিজেকে যখন একলা লাগে
গহন গভীরতায় রাত সঙ্গী হয়
মৌনতা ভাঙ্গাতে চায় মনের ঘুম
বলতে থাকে মনকে মন-
দৃশ্যের দর্পণে নিজেকে লুকিয়ে রাখিস না
জাগিয়ে রাখ্, মগ্নতার তন্দ্রানীল চেতনা

আমি কল্পনার কৈলাসে চড়ে
বাতাসের ঈগলে ভেসে যেতে চাইলে-
দূর থেকে দূরে হারিয়ে যাবার টর্নেডো
মনে করিয়ে দেয়-
সংসারে আমিও বাতিঘর ছিলাম
নির্বাসিত অস্তিত্বে এখন দাসানুদাস
জুয়োর টেবিলে হারিয়ে ফেলেছি
কবিতা লিখবার খাতা

প্রতিশ্রুতির হাতুড়ি জানে
দ্রৌপদী শাড়ী রোদে ভিজে, বৃষ্টিতে শুকায়
চৈত্র খরা তাড়িয়ে দেয়-
আষাঢ় জ জ্বালা জুড়ায়। তবু-
জমে আছে আগামীর ঋণ
একা হলেও-
শোধিতে হবে আত্মজের ঋণ

আকাশ পানে তাকিয়ে দেখি
স্তব্ধতার ভাষা খুলে মায়াবী চাঁদ-

আমি উপোষী মরি নাঅমাবস্যায় লুকাই-
দেখো তুমিরুপোর কাঠিতে মূর্ছিত লক্ষ নক্ষত্র
জেনেই রেখো-
জীবনের চলাচল নয় সুখ প্লাবনের পানসি
সমাধি আঁকড়ে ধরে হলেও
বাঁচো-বাঁচাও রক্তের টানাটানি

পূর্ণিমা দোল খায়- পাতার দোলনায়
ভাঙ্গা কাঁচের হাসিতে ঘুষঘুষে জ্বর
জণ্ডিসের হলুদ অবস্তু ঝিকিমিকিয়ে গলে নামুক-
ভ্যাবলার বিহ্বল শূন্যগর্ভে আশ্বিনের কিশোর
যৌবনের প্রস্থানে রঙের তামস প্রৌঢ়
হাহাকারের বোবা কান্নায়
অশান্ত উত্তাল কল্লোল আবেগ
বেঁচে থাকতেই হবে-
তবে বেঁচে থাকুক, ঠোঁটের লুব্ধকে স্তব্ধতা

শশাঙ্কের দিকে পিঠ দিলাম বলে
কেউ বলে উঠলো-
আয় শুদ্ধতায়, জ্যোৎস্না স্নানেই পূর্ণতার বিভা