পরিচয়হীন নষ্ট
স্রোতে জন্ম নিলো অপুষ্টির গর্ভাশয়ে চিৎকার
সাবধান না হওয়া
সর্বনাশের পেটের ভেতর জন্মানো দু:খের ভ্রূণ
ভুলেছি তার নাম
বা ধরে নিতে পারি ‘রেজরে না থাকা সেফটি’
সঘর-অঘর প্রভেদ
না খোঁজা কালো কাপড়ে বাঁধা চোখ যা দেখেনি
দেখেনি সরকার,
জানেনি ক্ষমতা, শোনেনি রায়
পৃষ্ঠা জুড়ে লেখা
হলো, ঘোলা নদী কান্নার শ্লোগান
ফুটপাথ ধরে হেঁটে
গেলেই যা লালিত অযত্নের স্বপ্নবাজ
কাঁপিয়ে দেয় ভূতল-
ঝাঁকুনি দেয় ‘খোদার আরশ আসন ভেদিয়া’
তখন কেঁপে ওঠা
ঈশ্বর বিড়ালের হুংকারে বলে- ওদের ধরো
প্রজন্মের প্রমাণিত
নাম অংকনের সিল-গালা মারো
তাই কি হয় বলো!
লজ্জাগুলো কিষানের
কাস্তে আর কুমারের হাপরের তলায় হাসে-
এসব এখন রাষ্ট্রের
গুদামে জমানো ধানের দুধ
দুর্ভিক্ষের উল্লাস
সেলাই করা জঠরে অন্নের পরিতোষে ভাত
বসন্তের মরা পাতা
গন্ধবুকে বৈশাখী ঝড় তুমি মৌসুমি ভগবান
‘যুক্ত করো হে’ শান্ত ফাঁসির দাবী, বটের ঝুড়ি নুলো জগন্নাথ!
বেঁচে থাকবো আমি
তোমার দেহে সমান্তরাল বিচরণ কাচপোঁকা
দুইবেয়ারা ঘুণের
পাল্কিতে কাচপোঁকার গায়ে ভীষণ প্রেমজ্বর- জরা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন